স্পোর্টস ডেস্ক: ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর রোববার খেলাটি হওয়ার কথা ছিল পার্লের বোল্যান্ড পার্কে। সব আয়োজন চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে খেলাটি মাঠে গড়াতে পারেনি। যুক্তরাজ্যের সময় সকাল আটটায় খেলা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে কেপটাউনে দুই হোটেল স্টাফের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর আসে। এরপর কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। ফলে শেষ মুহুর্তে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ইংল্যান্ডের সফরকারী দলটি আবারো অতিরিক্ত পরীক্ষার পর তাদের হোটেল কক্ষে আইসোলেশনে আছেন।
মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি হওয়ার কথা ছিল ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার। কিন্তু খেলা শুরু হবার প্রায় ২ ঘণ্টা পূর্বে প্রোটিয়া দলের এক ক্রিকেটার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। যে কারণে তাৎক্ষণিক ভাবে খেলাটি স্থগিত করা হয়। পরে ম্যাচটি পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় উভয় পক্ষ।
প্রথম ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সকল খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলে সকলের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। পরীক্ষা করানো হয় ইংল্যান্ড দলেরও। তারপর উভয় পক্ষের আলোচনায় রোববারের তারিখ নির্ধারিত হয়। নতুন সূচিতে ভেন্যুও পরিবর্তন হয়। তবে নতুন স্থানেও খেলাটি মাঠে গড়াতে পারেনি। রোববার ম্যাচ শুরুর মাত্র আধা ঘন্টা আগে বাতিলের ঘোষণা আসে।
ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড এবং ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই হোটেল কর্মী কোভিড -১৯ পজেটিভ বা ইতিবাচক পরীক্ষার ফল হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সতর্কতা হিসাবে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় এবং ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট সকলকে অতিরিক্ত পিসিআর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তারা এখন ফলাফলে অপেক্ষায় রয়েছেন। ইসিবি এবং সিএসএ আরও জানিয়েছে, পরীক্ষার ফলাফল স্বতন্ত্রভাবে অনুমোদনের পর চিকিৎকদের পরামর্শ অনুযায়ী সোমবার ও বুধবার কেপটাউনের জন্য নির্ধারিত সিরিজের দুটি ম্যাচের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচের সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। রোববারের পূর্ব নির্ধারিত খেলাটি সোমবার এবং তৃতীয় খেলাটি আগের সূচি অনুযায়ী বুধবারেই অনুষ্ঠিত হবার কথা। আগামী বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে লন্ডনে ফিরবেন।
পুরুষ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে গাইলস বলেছেন, আমরা আফসোস করছি যে, আজকের ওয়ানডেতে খেলতে পারিনি। তবে খেলোয়াড় এবং সহায়ক কর্মীদের কল্যাণই আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য। আমরা এখন চিকিৎসকদের পরামর্শ ও পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে অবিচ্ছিন্ন সংলাপে রয়েছি এবং কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা নির্ধারণ করতে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা চালিয়ে যাব।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট পরিচালক গেরিম স্মিথ বলেছেন, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করা সিএসএ‘র সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এই সিরিজের সাথে জড়িত সবাই সুরক্ষিত থাকার বিষয়ে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা আজকের ম্যাচটি বাতিল করার যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমরা গভীর অনুশোচনা করছি। আমাদের সম্মিলিত মেডিকেল টিমের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাবে বলে আশা করছি।